ঝালকাঠি থেকে ফিরে, রমজান আলী : ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুল আবেদীন জাহিদের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। চেয়ারম্যান জাহিদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দু:স্থদের ত্রাণ থেকে শুরু করে সব উন্নয়ন কার্যক্রমের বরাদ্দ আত্মসাৎ করেছেন চেয়ারম্যান। এলাকার মানুষ অভিযোগ করে বলেন, জাহিদ একজন সস্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত সবার কাছে। এছাড়া এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করে বলেন, তিনি হতদরিদ্র, এলজিআরডি, কাবিখা, বিধবাভাতা, গর্ববর্তীভাতাসহ সব ধরনের উন্নয়নমূলক কাজের অর্থ আত্মসাৎ করছে । তার ভয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ কেউ কথা বলতে পারে না। তার রয়েছে একটি বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। যা দিয়ে তিনি ও তার বাহিনী এলাকার মানুষের ওপর অত্যাচার করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। যদি কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে যায় তাহলে তাকে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে বাসা থেকে তুলে এনে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং বিভিন্ন প্রকার ভয় দেখায়। এছাড়া জাহিদ এলাকায় সালিসির নাম করে উভয় পক্ষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আর সালিসি করে না। কিছু দিন পর সেই টাকা তিনি আত্মসাৎ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার কাছে এলাকার কোন মানুষ কোন কাজে গেলে তাদের সাথে তিনি দুর্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেয়। তাই তার ভয়তে কেউ ইউনিয়ন পরিষদে আসে না। গরীবের রেশন পর্যন্ত তিনি আত্মসাৎ করে থাকে। তিনি এলাকায় গডফাদার হিসেবে পরিচিত। তিনি অবৈধ অস্ত্রচালানিসহ, মদ, গাঁজা, ফেনসিডিলসহ ইয়ারা ব্যবসা করে যাচ্ছে। এছাড়া তিনি একজন ইয়াবা সেবক। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগ। জাহিদ জনবিচ্ছিন্ন একজন চেয়ারম্যান। তিনি এককভাবে এলাকায় শাসন কায়েম করে যাচ্ছে। যা দেখার কেউ নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এবিএম সাদিকুর রহমান এর কাছে চেয়ারম্যান জাহিদের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান জাহিদ একজন বেয়াদব, অভদ্র। তার দুর্নীতি সম্পর্কে জানা নেই তবে খতিয়ে দেখারও আশ্বাস দেন তিনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান জাহিদ উল্টো সাংবাদিককে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে।